" মেঘ বালিকা "
" ইউসুফ ইসলাম "
" ইউসুফ ইসলাম "
কে তুমি বন্ধু ? তুমি কে ?
ছলাত করে এলে হীমেল বায়ু বয়ে
অশ্রুসলিলে বিদীর্ণ হীয়ায় তিক্ত বিষ-জ্বালায় রইনু পরি
ঝরঝর করি ঝরিলে বুঝি ঝরিলে তুমি
এবুকে এমাথায় উষ্ণ - পরশ - আল্ত ছোঁয়ায়
শীতল হলো মাথা ধুয়ে বুকের তিক্ত বিষ-জ্বলা।
বন্ধু , ওগো আমার নাম না জানা বন্ধু
তুমি কি জানো? আমি দেখেছি তোমায়
তুমি চলছিলে ভেষে দুর অজানায় বাহারি রঙ্গে খেলছিলে লুকোচুরি
আমি দেখেছি তোমায় তুমি জানো না কো , অগোচরে
বহুরূপে কখনো বা সচ্ছ আভায় পাহারি কায়ায়
তুমি কি জানো? তোমায় খুব মিষ্টি লাগে তখন
যখন তুমি রুসে উঠো ঘনিভুত বেশ ধরি মহাকাশ ছাপিয়া
ক্ষানিক বাদে বারেক ফিরিয়া চাহো হঠাৎ করি
খুব বেশি কাল নাহি রহে তব - মান - টিকি
গর্জে উঠো কাদি অশ্রুঝরায়ে ঝরঝর করি।
ওগো কে তুমি ? নাম না জানা অচেনা পান্থ আমার
মন যে বলে বড্ড চেনা, মনে হয় যেন একই ডালার দুটি কুসুম মোরা।
বন্ধু তুমি জানো না কো আমি পেয়েছি , আমি পেয়েছি তোমায়
আকাশ পানে চেয়ে দেখি গোধুলি সাজে উষ্ণ শিশিরে
এ যেন থরথর প্রথম পরশ কুমারির
অধির আগ্রোহে পেয়েছিনু - চেয়ে তব ছোঁয়া
ওগো নাম না জানা অচেনা বন্ধু আমার তুমি কি জানো?
কতো সুন্দর কতো মিষ্টমিষ্টি নাম রেখেছি তোমার
হয়তো সে - সব নাম শুনেই তুমি হাসবে হেসে হেসে গড়া গুড়ি খাবে
তবে, তবে কি নামে ডাকব তোমায় ?
মেঘ বালিকা না কি মেঘ কন্যা ?
আসলে তব সত্যিকারের নামিই জানা হয়নি যে ।
ওগো নাম না জানা অচেনা বন্ধু আমার
কে তুমি ? কেনই বা এলে কাছে
পরশি - সজন - আপন বলিতে কেউ তো নহে ?
তবে কিসের এতো টান , মনে এতো মায়া জাগে
জানিনে বন্ধু জানিনে এক পলমে এতো আপন কি করে হলে ?
অকারণে অনাদরে বহুরূপে যেন পিষ্ট হয়েছি
ফুলের মতো মানুষের পায়ে পিশে বহুবার।
না জানি বন্ধু তুমিও কি আমায় এমন করে -- ?
হু-হু করে কেদে উঠে বুক এক অজানা ভয়ে ---
যতোবার একটু সুখের পরশেই দুলে উঠে মন
ততবারই ভেঙ্গেছে ডালা দোলোনের তোড়ে
ওগো কে তুমি বন্ধু ? তুমি কে ?
তবে কি তুমিই আমার সতত শুন্য সজ্জা মিথ্যে স্বপনের সেই রমণী !
যাহার লাগি এম-নি করিই কাটিতেছে মোর কাল-রাতি সম
প্রতি পল এক-কাল বুঝি, তব আসার অধির প্রতিক্ষায়।
( স্বপ্ন লেখা পদ্য কাব্যগ্রন্থ )
0 Comments